চট্রগ্রাম বিভাগের বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা থানার একটি স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। সকালের প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় আস্থা নিয়ে বখাটে কর্তৃক দর্শনের শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়।
 গত ০৮ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকার ভিকটিম ছাত্রী স্থানীয় এক শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ী হতে বের হয়ে রাস্তার মাথায় পোঁছালে স্থানীয় বখাটে যুবক ফারুক তাকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করতে করতে এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দ্বারা ভয় দেখিয়ে হাত ধরে টেনে হিছড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় আসামী ছুরি দিয়ে হত্যার হুমকি প্রর্দশন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র তার মোবাইলে ধারণ করে। আসামী ভিকটিমকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র দেখিয়ে হুমকি প্রদান করে সে যদি তার সাথে পূনরায় শারীরিক সর্ম্পক না করে তবে সে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে।
 এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৯ তারিখঃ-২৩/০১/২০২২ খ্রিঃ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/ ২০০৩) ৯(১) তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১)।
মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তার অনুরোধে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ থানাধীন আজাদ কলোনী দীঘিরপাড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জুলাই ২০২২ইং তারিখ, বুধবার  সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ফারুক(২০),পিতা- রমিজ উদ্দিন, সাং-বুড়ির ঝুম, থানা- লামা, জেলা-বান্দরবানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত মামলার এজাহার নামীয় একমাত্র আসামী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।